শিক্ষার্থীদের ভিসার সংখ্যা ৩৫ শতাংশ কমানো হলেও, বাংলাদেশের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার। বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় এই বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি। বাঙালি শিক্ষার্থীদের আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে। এতে আগামী দিনগুলোতে মাস্টার্স ও পিএইডি করতে যাওয়া সহজ হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে গেলো ২২ জানুয়ারী আবাসন ও স্বাস্থ্য খাতের সংকট মোকাবিলায় আগামী দুই বছর কম সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী নেয়ার ঘোষণা দিতে হয়েছে সরকারকে। অন্তত ৩৫ শতাংশ ভিসা হ্রাস করার উদ্যোগ নেয়া মোটেই সহজ ছিল না। তবুও সে পথে হেঁটেছে জাস্টিন ট্রুডো সরকার। তবে এই ‘ভিসা ক্যাপে’ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তেমন অসুবিধা দেখছেন না অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার। ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান কিছুটা বাড়বে বটে কিন্তু যোগ্যদের জন্য আমূল কোনো পরিবর্তন আসবে না, বলছে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান বলেন, অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলারের চিঠি আমরা পেয়েছি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তারা আগের মতোই ভিসা পাবেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে।
গেলো বছর প্রায় ৯ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেয় উত্তার আমেরিকার দেশটি। শিক্ষার্থী আসায় অর্থনীতি চাঙা হলেও, আবাসন খাতে দুরাবস্থা দেখা দিয়েছে। তাই স্নাতক ও ডিপ্লোমায় ৩৫ শতাংশ ভিসা হ্রাস, কলেজ থেকে পড়াশোনা করলে ওয়ার্ক পারমিট না দেয়াসহ আরও কিছু বিধান আনা হয়েছে। এর আগে, উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের খরচ বাড়ায় সরকার। ২০২৪ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে নতুন এ নিয়ম চালু হয়।
যারা ইতোমধ্যে স্টাডি পারমিট পেয়েছেন বা পারমিট নবায়ন করতে আগ্রহী তাদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। যারা মাস্টার্স বা ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য আসবেন কিংবা প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও ভিসার সংখ্যা সীমাবদ্ধ নয়।
কানাডা সরকার মনে করছে, নতুন এই পদক্ষেপ মোটেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নয়। এর ফলে, বরং ভবিষ্যতে যারা অন্য দেশ থেকে পড়তে আসবেন, তারা আরও ভালো মানের শিক্ষা ও থাকার পরিবেশ পাবেন।