ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম থাকলে মানুষ জীবনে কি না করতে পারে। কিছু মানুষের কাছে জীবন মানেই শুধু একটি মাত্র কাজ কিংবা কোনও রকম একটি জীবন পার করে দেয়া। অনেকের কাছে জীবনের অর্থ আবার এমন নয় বরং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রমে এমন অনেকেই আমরা অন্যদের চেয়ে আলাদা হিসেবে চিনি।
শুধু নিজেদের নামের বিচার নয় এই মানুষেরা স্ব স্ব কাজের মাধ্যমে অন্যের প্রয়োজনেও বিশেষ সহযোগিতার মাধ্যমে দেশ ও সমাজের কাছেও আলাদা প্রতিষ্ঠা পায় এই নামগুলো। তেমনই একজন ড. রাজুব ভৌমিক। মাত্র ৩১ বছরেই যে নাম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়।
মাত্র ১৪ বছর ধরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরই মধ্যে রাজুব ভৌমিক নেই কোথায়। শিক্ষাজীবনে একটি স্নাতক ডিগ্রি, চারটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং দুটি ডক্টরেট ডিগ্রি (একটি পিএইচডি, আর একটি ডক্টরেট অব সাইকোলজি) করেন। বর্তমানে তিনি আরও বিশ্বখ্যাত হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ পৃথক দুটি ডক্টরেট ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
কবি ও লেখক, অধ্যাপক ড. রাজুব ভৌমিক যুক্তরাষ্টে রাজুব ভৌমিক একটি স্নাতক ডিগ্রি, চারটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও চারটি ডক্টরেট ডিগ্রি (একটি পিএই ডি, একটি ডক্টরেট অব সাইকোলোজি, ডক্টরেট অব বিজনেস এবং ডক্টরেট অব এডুকেশন) সম্পন্ন করেন। তিনি একজন লেখক ও কবি ড. রাজুব ভৌমিক আয়না সঙ্গীত ও আয়না সনেটের জনক। বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশটির ও বেশি। সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কে তার প্রকাশিত তিনটি পাঠ্যপুস্তক নিয়মিত পড়ানো হয়।
প্রথম আলো উত্তর আমেরিকাতে তার সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিন উত্তর আমেরিকার সাহিত্য সম্পাদক ও ঢাকা পোস্টের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি। তিনি এরই মধ্যে বহু গানের মডেলিংসহ ফিল্মেও অভিনয় করেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাজুব ভৌমিক এর পেছনের গল্প-
তিনজন পিএইচডি উপদেষ্টা পরপর ১১ বার প্রত্যাখ্যান করেন রাজুবকে। যা চরমভাবে নাড়া দেয় তাকে। এর পরই তিনি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে আরেকটি ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভর্তি হন এবং দুটি ডক্টরেট একসঙ্গে চালিয়ে যান। রাজুব তার দ্বিতীয় ডক্টরেট শেষ করে তৃতীয় ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভর্তির পরই তার প্রথম সেই ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এভাবে পাশাপাশি দুই বা ততোধিক ডিগ্রি একসঙ্গে করে রাজুব ৩৪ বছর বয়সে মোট চারটি মাস্টার ডিগ্রি এবং চারটি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ অফিসার রাজুব ভৌমিক। নোয়াখালীর কবিরহাটে তার জন্ম। জ্ঞান অর্জনকে যিনি জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। দীর্ঘ অধ্যবসায়ের ধারাবাহিকতায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মোট ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন। এর মধ্যে রয়েছে মোট চারটি ডক্টরেট ডিগ্রি এবং চারটি মাস্টার ডিগ্রি। সেজন্য তাকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিক্ষিত পুলিশ স্বীকৃতি দিল ইউরোপের ‘অফিশিয়াল ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’। এতে তাকে পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষিত বলেও অভিহিত করা হয়। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে এসব ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
কুমিল্লা বোর্ডের আওতাধীন ওটারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫ পেয়ে কৃতকার্য হলেও ২০০৪ সালে সরকারি মুজিব কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেন রাজুব। পরে ২০০৫ সালে ফের পরীক্ষা দিয়ে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হন। ২০০৫ সালের শেষের দিকে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। প্রথমে দেশটিতে ম্যাকডোনাল্ড রেস্তোরাঁয় চাকরি শুরু করেন।
পড়াশোনার প্রতি তীব্র আকাঙ্খা থেকেই ২০০৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শেফার্ড ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হন। কিন্তু কম সিজিপিএ’র কারণে ২০০৭ সালের শুরুর দিকে সেখান থেকে ছিটকে পড়েন। এতে দারুণভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। ২০০৭ সালের শেষ দিকে আবার নতুন করে স্নাতক ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা শুরু করেন। অবশেষে ২০১১ সালে তিনি আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এতে বেশ আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় তার এবং দেরি না করেই মাস্টার্সে ভর্তি হন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার ডিগ্রি হওয়ায় ভর্তি প্রক্রিয়াতে বেশি সময় লাগেনি। মাস্টার্সের সব কোর্সে কোনোমতে পাস করলেও শেষ পরীক্ষায় পর পর দুবার ফেল করেন তিনি। তৃতীয় বার এই পরীক্ষায় ফেল করলে এই মাস্টার ডিগ্রি থেকে তিনি আজীবন বাদ হয়ে যেতেন। ভাগ্যক্রমে শেষ চেষ্টায় তিনি মাস্টার ডিগ্রি শেষ করেন। এতে তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন পিএইচডি করার।
শুরুতে তিনি পিএইচডি’র কোর্সগুলো খুব ভালোভাবেই সম্পন্ন করেন গবেষণামূলক অংশ বাদে। একজন ডক্টরেট শিক্ষার্থীর সাধারণত তিনজন গবেষণা উপদেষ্টা থাকে এবং এদের মধ্যে একজন প্রধান বা চেয়ারের ভূমিকা পালন করেন। একজন ডক্টরেট শিক্ষার্থী গবেষণা সম্পন্ন করার পর তাদের কাছে পাঠান এবং এই তিনজনের চূড়ান্ত অনুমোদন এবং স্বীকৃতি নিয়েই ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন হয়। এখানেই হোঁচট খান তিনি। রাজুব কখনো চিন্তাও করতে পারেননি তিনজন পিএইচডি উপদেষ্টা পরপর ১১ বার প্রত্যাখ্যান করবেন তাকে। যা তাকে চরমভাবে নাড়া দেয়। এর পরই রাজুব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে আরেকটি ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভর্তি হন এবং দুটি ডক্টরেট একসঙ্গে চালিয়ে যান। রাজুব তার দ্বিতীয় ডক্টরেট শেষ করে তৃতীয় ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভর্তির পরই তার প্রথম সেই ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এভাবে পাশাপাশি দুই বা ততোধিক ডিগ্রি একসঙ্গে করে রাজুব ৩৪ বছর বয়সে মোট চারটি মাস্টার ডিগ্রি এবং চারটি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
বর্তমানে তিনি নিউইর্য়ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে সার্জেন্ট পদে কর্মরত আছেন। সিটি ইউনিভার্সিটিতে আইন এবং অপরাধ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক এবং সেন্ট এলিজাবেথ ইউনিভার্সিটিতে মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপনা করছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি লেখালেখিতেও সমান পারদর্শী। আয়না সনেট ও আয়না সংগীতের জনক ড. রাজুব ভৌমিকের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টিরও অধিক।
আরো উল্লেখ্য, ড. রাজুব ভৌমিক শুধু শিক্ষানুরাগী-ই নন, তিনি অভিনয় করেন, গানও লিখেন। তার কৃতিত্বের খবর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পূর্বে এই রীতিতে বিশ্বের কোন সাহিত্যে সনেট লেখা হয় নি। তাই ইতিমধ্যে ‘আয়না সনেট’ নিয়ে বিশ্বগণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
এরইমধ্যে ড. রাজুব ভৌমিকের সৃষ্ট নতুন ধারার আয়না সনেট নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ব গণমাধ্যমে।
জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ইয়াহু লাইফ স্টাইলে ‘মিরর সনেট: মিট রাজুব ভৌমিক, দ্যা পয়েট হু পায়োনিয়ারড আয়না সনেট’ শিরোনামে কবি রাজুব ভৌমিক এবং তার সৃষ্ট আয়না সনেট বা মিরর সনেট নিয়ে একটি গবেষণামূলক লেখা ছাপানো হয়েছে। এতে আয়না সনেট উৎপত্তি কিভাবে হয় তার বিস্তারিত লেখা হয়েছে। এই সংবাদ মাধ্যমটি আরও উল্লেখ করেছে যে ‘আয়না সনেটগুলো একেবারে ব্যতিক্রমী সনেট, যা অতীতের ফরাসি এবং শেক্সপীয়ার সনেটগুলির চেয়ে দুর্দান্ত।’
আরেকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্যা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস ‘ফ্রম এ টিনএজ পয়েট টু ক্রিয়েটর অব আয়না সনেট, পয়েট্রি ইজ লাইফ ফর রাজুব ভৌমিক’ শিরোনামে কবি রাজুব ভৌমিক কবি জীবন এবং তার সৃষ্টি আয়না সনেটের ভিন্নতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পত্রিকা দ্যা এশিয়ান এইজ ‘ রাজুব ভৌমিক’স আয়না সনেটস আর রিডার্স ডিলাইট’ নামক শিরোনামে আয়না সনেটর বন্দনা করা হয়েছে।
এছাড়াও জনপ্রিয় সংবাদ-মাধ্যম দ্যা স্টেটসম্যান, ফ্রি প্রেস জার্নালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে আয়না সনেটের সৃষ্টির পিছনে কবি রাজুব ভৌমিকের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
কবি, লেখক ও প্রফেসর ড. রাজুব ভৌমিকের জন্ম বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার শ্রীনদ্দি গ্রামে। ওটার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু। যুক্তরাষ্ট্রে গমণের পূর্বে সরকারী মুজিব কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি।
ড. রাজুব ভৌমিক তরুণদের উপদেশ দিয়ে বলেন, একদম সময় নষ্ট করবে না। অলস সময় কাটাবে না। সব লক্ষ্য সফল হবে না। তাই বলে ভেঙে পড়বে না। নতুন লক্ষ্য সৃষ্টির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। বেশি বেশি করে বই পড়তে হবে। প্রতিনিয়ত লেখারও অভ্যাস করতে হবে।
অদম্য রাজুব ভৌমিক মনে করেন, যখন কেউ নিজেকে কিছু না কিছুতে ব্যস্ত রাখেন, তখন সব কাজকে সোজা মনে হয় এবং অনেক কিছু করা যায়। অপচয় না করে সময়ের সদ্ব্যবহার করা জরুরি।
তিনি একটি মিনিটও অনর্থক নষ্ট করেন না। একজন মানুষ কতটুকু অদম্য হলে একসঙ্গে এতকিছু করা যায়। এই কঠোর পরিশ্রমে একদিন তিনি পৌঁছে যাবেন অনন্য স্থানে বিশ্বসেরাদের কাতারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, রাজনীতিকরা সুনামের সঙ্গে নিজেদের কর্মে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছেন সঙ্গে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন বাংলাদেশের পতাকা আর একই সঙ্গে বাংলাদেশেকে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য মর্যাদায়।