নিউইয়র্কের নন্দনকানন জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪। চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা।
সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪ উপলক্ষে ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো একটি প্রেস কনফারেন্স। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতা থেকে আগত জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা, চলচ্চিত্র নির্মাতা রেশমী মিত্র, বিনোদন সাংবাদিক শর্মিলা মাইতি ও ঢাকার জনপ্রিয় নায়ক ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা ডা. জিয়াউদ্দীন আহমেদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী, অভিনয়শিল্পী লুতফুন নাহার লতা, উৎসবের সমন্বয়কারী মো. আবদুল হামিদ ও এলি বড়ুয়া, উৎসবের জুরি বোর্ডের সদস্য মোরশেদুল ইসলাম, অনুষ্ঠান সহযোগী স্বাধীন মজুমদার এবং ঢাকা ও কলকাতা কো-অর্ডিনেটর পিয়াল হোসেন ও শর্মিষ্ঠা ঘোষ।
প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাঙালি কমিউনিটিতে শত শত অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানের ভিড়ে কয়েকটি অনুষ্ঠানের কথা মানুষ বিশেষভাবে স্মরণ রেখেছে। এগুলোর একটি হলো- লালন উৎসব এবং একটি হচ্ছে রবীন্দ্র উৎসব। যে অনুষ্ঠানগুলো নান্দনিকতার বিবেচনায়, গোছানো আয়োজনের বিচারে সফল অনুষ্ঠান হিসেবে দর্শক-শ্রোতা কর্তৃক স্বীকৃত এবং মাইল ফলক হিসেবে সাংস্কৃতিক মহলে চিহ্নিত।
এক ঝাঁক নিরলস সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের উদ্যোগে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত এসব অনুষ্ঠানের সফল আয়োজনের পর এবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের। উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট- বাংলা চলচ্চিত্রের বিশ্বায়ন। একই সাথে বাংলা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের মধ্যে তুলে ধরা, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করা।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেন-এর নামে এ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক ‘সুচিত্রা সেন মেমোরিয়াল ইউএসএ’। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন সুচিত্রা সেন। তাঁর জন্মমাসে, তাঁকে স্মরণ করেই এই চলচ্চিত্র উৎসব।
আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা কালচারাল সেন্টারে দু’দিন ব্যাপী এ জমকালো উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবের স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে নিউইয়র্কের কুইন্সের নান্দনিক ভেন্যু হিসেবে পরিচিত জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টার। অভিনয়শিল্পী, নেপথ্যের কলাকুশলী, প্রযোজক, পরিবেশক সর্বোপরি বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীদের মিলন আসর বসবে এখানে।
আন্তর্জাতিক এ চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ফিচার ফিল্ম, শর্ট ফিল্ম, ডক্যুমেন্টারি ফিল্ম জমা নেয়া হচ্ছে (ইংরেজি সাবটাইটেলসহ)। উৎসবে বাছাই করা ছবির প্রদর্শনী হবে এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে পুরস্কার। এছাড়া বিদেশে থাকা বাংলাদেশি ও ভারতীয় অভিবাসী চলচ্চিত্র কর্মীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ক্যাটাগরি। তারাও তাদের কাজ জমা দিতে পারেন। থাকছে পপুলার ক্যাটাগরি। দু’দিন ব্যাপী ৩৫ ঘন্টার এই উৎসবে দশটি ফিচার ফিল্ম, পাঁচটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম, পাঁচটি শর্ট ফিল্ম প্রদর্শন করা হবে। আন্তর্জাতিক এ চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, ভারতীয় পরিচালক বেদব্রত পাইন এবং নিউ ইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টসের চলচ্চিত্রবিষয়ক শিক্ষক মেরি লি গ্রিসান্তি।
এ আয়োজনের পেছনে যাদের মেধা ও শ্রম জড়িত তারা হলেন- উৎসবের আহ্বায়ক গোপাল সান্যাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিশিষ্ট সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকী, সমন্বয়ক স্বীকৃতি বড়ুয়া, জাহেদ শরীফ, সুখেন জোসেফ গোমেজ, শুভ রায়, সাহানা ভট্টাচার্য্য ও মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর পিনাকী তালুকদার।