দেশে কোন বাক স্বাধীনতা নেই। লেখকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। স্বাধীনতা পেলে বিশ্ব কাঁপানো সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারতেন। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে কোন সৃষ্টিশীল কাজ করা সম্ভব নয়। যে কারণে আপনি লুতুপুতু প্রেমের কবিতা লিখছেন। বাসর ঘরে বউয়ের ঘোমটা খোলা নিয়ে গল্প লিখছেন। ফেসবুক কীভাবে আমাদের সাহিত্যকে ধংস করে দিচ্ছে তা নিয়ে প্রবন্ধ লিখছেন। অথচ বিশ্বের অধিকাংশ মহৎ সাহিত্যকর্মই শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে লেখা হয়েছে। হয়তো তার জন্য অনেক লেখককেই অনেক মাসুল দিতে হয়েছে। বিশ্বব্যাপি তার অসংখ্য উদাহরণ আছে। বাংলাদেশেও এমন নিপিড়িত লেখকদের নামের লম্বা তালিকা করতে পারবেন। যারা লেখালেখির জন্য প্রাণ দিয়েছেন, দেশ ছেড়েছেন কিংবা জেল খেটেছেন। হয়তো তাদের সবার সৃষ্টি ঠিক মহৎ সাহিত্য ছিল না। তবু তারা কোথাও না কোথাও একটা আঘাত করতে পেরেছিলেন।
একজন লেখকের কাজ মানুষের আনন্দ, বেদনা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদের অনুভুতিকে অন্তরে ধারণ করা এবং তা সাহিত্যের ভাষায় প্রকাশ করা। তা সে ছড়া কবিতা গল্প কিংবা প্রবন্ধ যেকোন মাধ্যমে হতে পারে। “গদাধরের ছেঁড়া চটি ও ফুলেশ্বরীর পাখি বৃত্তান্ত” তেমনি এক ছোটগল্পের বই। রহস্যময় নামের এই বইটিতে আছে রাজনীতি, সমাজ ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে চাবুকের মত ছেঁড়া চটির আঘাত। আছে দমবন্ধ করা সব পরিস্থিতির পেছনের কারণ খোঁজার গল্প। আছে মুক্তিযুদ্ধের গতানুগতিক গল্পের বাইরে এক কিংবদন্তির গল্প। আছে পনেরোই আগস্টের খুঁটিনাটি ইতিহাসের সঙ্গে একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একজন রাজাকারের নৈতিক অবস্থানের দ্বন্দ্ব এবং সেই পাপের উত্তরাধিকার নিয়ে গল্প। আছে প্রচলিত গল্পের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ধর্মীয় বিদ্বেষের গল্প ও তার সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা। বইয়ের গল্পগুলো মুলত রাজনীতি ও সমাজ সচেতন পাঠক জন্য। তবে যারা লেখালেখি করেন, বিশেষ করে যারা প্রতিবাদী গল্প লেখেন বা লিখতে চান তারা পড়ে দেখতে পারেন।
গদাধরের ছেঁড়া চটি ও ফুলেশ্বরীর পাখি বৃত্তান্ত
লেখকঃ স্বপন বিশ্বাস
প্রকাশকঃ তাম্রলিপি
(একুশে বইমেলার ১৫নং প্যাভিলিয়ন)
ঘরে বসে বইটা কেনার জন্য Tamralipi-তাম্রলিপি’র ফেসবুক পেজের ইনবক্সে (Message) বইয়ের নাম ও নিজের নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর দিতে হবে। অথবা কল করতে পারেন- 01772 269 437 নম্বরে। বই পৌঁছে যাবে।