বাংলাদেশে নাটক-নৃত্য-সঙ্গীতের মত মূকাভিনয় শিল্পটি এখনও তার সঠিক জায়গাটি দখল করতে পারেনি। এর প্রধান কারণ, নতুন প্রজন্মের কাছে মূকাভিনয়কে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেই জায়গা থেকে বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্র মনে করেছে শিশুদের দিয়েই শুরু হোক যাত্রা। এ জন্য শিশুদের মেধার বিকাশ ও কল্পনা শক্তিকে আরও প্রখর করতে প্রকাশ করা হলো- ‘মূক ভাষায় শিশুতোষ মূকাভিনয়ের হাতে খড়ি’- মূকাভিনয়ের আদর্শলিপি।
লস এঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত কবিতা সম্মেলন ২০২৪-এ প্রথম শিশুতোষ মূকাভিনয়ের উপর প্রকাশিত বই ‘মূকাভিনয়ের আদর্শলিপি’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বইটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, একুশে পদকপ্রাপ্ত জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
‘মূকাভিনয়ের আদর্শলিপি’ বইটি লিখেছেন মাইম আইকন কাজী মশহুরুল হুদা। এটি প্রথম মূক ভাষায় শিশুতোষ মূকাভিনয়ের হাতে খড়ি।
বইটি বাংলা ও ইংরেজি দু’ভাষাতেই শিশুদের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। যা শিশুদের মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন লেখক কাজী মশহুরুল হুদা।
কাজী মশহুরুল হুদা বলেন, ‘মূকাভিনয় নিয়ে দেশে বহু বছর ধরে কাজ হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি এখনও মানসম্মত চর্চার অভাব রয়েছে। এর বড় কারণ শিশুদের মধ্যে এ শিল্পের বিকাশ সম্ভব হয়নি। আমাদের প্রচেষ্টা নিজস্ব জাতিসত্তার মধ্য দিয়ে শিল্পটিকে একটি জায়গা করে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্ম থেকেই শুরু করতে হবে। ‘মূকাভিনয়ের আদর্শলিপি’- শিশুদের মূকাভিনয়ে আগ্রহ সৃষ্টিতে কাজে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি শিশুদের উপযোগী করে লেখা। এরপর প্রকাশিত হবে ‘কিশোরদের মূকাভিনয় শিক্ষা’। তারপর ধাপে ধাপে মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত মূকাভিনয়ের বই প্রকাশের কাজ চলছে। আর এ কাজে সহযোগীতা করে যাচ্ছে ‘বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্র’।’
বইটি সংগ্রহ করুণ আজই। তুলে দিন আপনার শিশুর হাতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি এ বইটি আপনার শিশুর চিন্তা ও কল্পনা শক্তিকে বাড়িয়ে দিবে এ নিশ্চয়তা দিতে পারি।
(সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করুন: 01674076479)।