মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকেই একের পর এক নানা চমকের জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি এবার ট্রাম্পের সুসম্পর্কের তালিকায় থাকা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধেও কিছুটা কঠোর মনোভাব দেখাতে পারেন ট্রাম্প। এরই অংশ হিসেবে এবারে সামনে এসেছে নতুন বার্তা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য। পুতিন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যর্থ হন তাহলে মস্কোর বিরুদ্ধে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর পাশাপাশি রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, যুদ্ধ নিরসনে চাপ দিয়ে পুতিন এবং তার দেশকে ‘খুব বড় অনুগ্রহ’ করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন ২০২২ সাল থেকে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে মাত্র একদিন সময় নেবেন তিনি। তার দেয়া সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ইতিমধ্যেই বেশ তৎপরতা শুরু করেছে তার প্রশাসন।
বিবিসির জানিয়েছে, মস্কো এবং কিয়েভ উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে তারা। এতে বলা হয়, পুতিনকে লক্ষ্য করে যে কড়া বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প এখনও তার কোনো জবাব দেয়নি রাশিয়া। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে মস্কোর হাতে খুব বেশি সময় নেই। অর্থাৎ নতুন করে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছে না রাশিয়া।
এছাড়া পুতিনও বারবার বলেছেন যে, তিনি ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ওই যুদ্ধ থামাতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত শর্ত সাপেক্ষে। তার দাবি ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডগত সুবিধার কথা বিবেচনায় রাখার পাশপাশি ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের অনুমতি দিতেও অস্বীকৃতি রয়েছে তার। এক্ষেত্রে তিনি ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূমির দিকেও ইঙ্গিত করেছেন।
অন্যদিকে সামান্য জমিনও ছাড়তে নারাজ কিয়েভ। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা ট্রাম্পের এ চাপে কিছুটা ছাড় দিতেও পারে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।
অবশ্য তিনি এর আগে স্বীকার করেছেন, বর্তমানে দখলকৃত অঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে হয়তো তাকে ছেড়ে দিতে হতে পারে।
এর আগে শপথ গ্রহণের পরদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তিনি খুব দ্রুততার সাথেই পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে এক্ষেত্রে যদি পুতিন সাড়া না দেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে রাশিয়া।