যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডুকেশন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান এম ওসমান সিদ্দিক (৭৪)। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মনোনীত পরিষদ সদস্যদের মধ্যে ওসমানের নাম ঘোষণা করেছেন বলে শুক্রবার হোয়াইট হাউজ তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৪ সদস্যের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডুকেশন বোর্ড (এনএসইবি) ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডুকেশন প্রোগ্রামের জন্য কৌশলগত দিকনির্দেশনা ও তদারকি প্রদান করে থাকে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডুকেশন প্রোগ্রাম ডেভিড এল. বোরেন স্কলারশিপ ও ফেলোশিপসহ একাধিক ফেলোশিপ এবং পুরষ্কার দিয়ে থাকে। এর উদ্দেশ্য হলো বিদেশি সংস্কৃতি ও ভাষাকে কার্যকরভাবে বোঝার এবং যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানো।
বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জে অস্টিন থার্ড। এর স্থায়ী সদস্যরা হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী, জ্বালানীমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক এবং ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর দ্য হিউম্যানিটিজের চেয়ারপারসন।
পরিষদের সদস্য পদে বাইডেনের পছন্দের তালিকায় থাকা ওসমান কিশোরগঞ্জের সন্তান। এর আগে ১৯৯৯-২০০১ সাল পর্যন্ত ফিজিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। দায়িত্ব পালন করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্বাচনী দলের এশিয়া বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোহাম্মদ ওসমান গণির ছেলে ওসমান সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। সেই থেকে ভার্জিনিয়া এলাকায় সপরিবারে বসবাস করছেন। তার এক ভাই ওসমান ফারুক বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, আরেক ভাই ওসমান ইউসুফ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ও ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির সদস্য।
এনএসইবি মূলত অলাভজনক সংস্থার বিশেষজ্ঞ ও একাডেমিয়া থেকে যারা জাতীয় নিরাপত্তা শিক্ষা কর্মসূচিতে মূল্যবান সহায়তা প্রদান করেন তারাসহ রাষ্ট্রপতির নিয়োগপ্রাপ্ত ছয় সদস্য নিয়ে গঠিত।
উল্লেখ্য, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জন্মগ্রহণকারী ওসমান সিদ্দিক হলেন প্রথম আমেরিকান মুসলমান ও বাংলাদেশি আমেরিকান যিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ফিজি, নাউরু, টঙ্গা ও টুভ্যালুতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও চিফ অব মিশন ছিলেন।