যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় ভাড়াটিয়ার হাতে এক বাড়িওয়ালা বাংলাদেশি খুন হয়েছেন। নিহতের নাম একরামুল হক।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১টার দিকে নিজ বাসায় মদ্যপ ভাড়াটিয়ার হাতুড়ির আঘাতে খুন হন তিনি। নিহতের নাম একরামুল হক। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের হামজারবাড় এলাকায়। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন এবং ফিলাডেলফিয়া এয়ারপোর্টে কাজ করতেন।
জানা যায়, ২৪ বছর আগে আমেরিকায় এসে আস্যালাইম কেসের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ফিলাডেলফিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে হুইল চেয়ারের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন একরামুল। বছর খানেক আগে ফিলাডেলফিয়া শহরের এনগোরা ট্রেসে একটি তিন বেডরুমের বাড়ি কিনে সেখানে বসবাস শুরু করেন তিনি। তাঁর বাড়িতে হন্ডুরাসের বংশোদ্ভূত কার্লোস ও ডেভিড নামের অপর এক কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গত ৩ মাস ধরে কার্লোস বাসা ভাড়া দিচ্ছিলেন না। শনিবার রাত ১টায় কাজ থেকে ফিরে একরামুল হক কার্লোসের কাছে ভাড়ার টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে হাতুড়ি দিয়ে একরামের মাথায় আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে একরাম নিস্তেজ হয়ে বাসার মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। সারারাত ঘরের মেঝেতেই একরামের নিথর দেহ পড়ে থাকে। এদিকে সকাল ৭টায় ৯১১ এ কল পেয়ে পুলিশ সে বাড়িতে গিয়ে একরামের মরদেহ উদ্ধার করে।
এসময় বাসার অন্য কক্ষ থেকে অভিযুক্ত হত্যাকারী কার্লোসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার সময় কার্লোস অতিরিক্ত মদ্যপ ছিল বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত একরামুল হক ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শহরে একাকী বসবাস করে আসছিলেন। তার পরিবার বাংলাদেশে থাকেন। একরামুল হকের মরদেহ ফিলাডেলফিয়া সিটি কাস্টোডিতে রাখা হয়েছে।
এদিকে পারিবারিক সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম সমিতি অব পেনসিলভেনিয়া তার মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে বলে জানা গেছে।
ঘটনা জানাজানি হবার পর স্থানীয় বাংলাদেশিরা ঘাতককে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।