যশোরের মেয়ে সাদিয়া খাতুন মালয়েশিয়ার নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টেইলর’স ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছেন ব্যাচেলর অব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং (স্নাতক) প্রোগ্রামে। স্বপ্নপূরণের এই যাত্রায় শুরু থেকেই তাঁর পাশে ছিল গ্লোবাল পাথওয়ে এক্সপার্টস লিমিটেড (জিপিইএল)।
সাধারণত বিদেশে পড়তে যাওয়ার পথ সহজ নয়। তাই সাদিয়ার মনেও ঘুরছিল নানা প্রশ্ন, ‘আমার যে রেজাল্ট, সেটার ভিত্তিতে কি আদৌ যাওয়া সম্ভব? বাজেট কি সাধ্যের মধ্যে থাকবে? পড়াশোনার জন্য বিদেশে যাওয়ার জটিল প্রক্রিয়া সামলাব কীভাবে?’
এসব প্রশ্নের উত্তর সহজ হয়ে যায় গ্লোবাল পাথওয়ে এক্সপার্টস লিমিটেডের সহায়তায়। সাদিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ফুফাতো বোনের মাধ্যমে জানতে পারি, গ্লোবাল পাথওয়ে এক্সপার্ট লিমিটেডের কথা। দেরি না করে যশোর থেকেই যোগাযোগ করি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে। তাদের সহযোগিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে এবং আশাও জাগিয়েছে।’ সাদিয়া আরও বলেন, ‘জিপিইএলের অভিজ্ঞ কাউন্সেলররা পরামর্শ দেওয়ার সময় শুধু কাগজপত্রের তালিকা দেননি, বরং দিয়েছেন সাহস ও ভরসা। জিপিইএল না থাকলে এতটা সহজ হতো না আমার বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্নপূরণ। জিপিইএলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট জমা দিয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষ করার পর সাদিয়া হাতে পান কাঙ্ক্ষিত ‘অফার লেটার’। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে সাদিয়া খাতুন রওনা দেন মালয়েশিয়ার পথে। বিমানবন্দরে তাঁর চোখেমুখে ছিল আনন্দ, কিছুটা ভয় আর সাহসের মিশ্র অনুভূতি। গন্তব্য টেইলর’স ইউনিভার্সিটি। যেটি শুধু মালয়েশিয়ার নয়, এশিয়ার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
গ্লোবাল পাথওয়ে এক্সপার্টস লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশনস্) ইরফান মিজান খান বলেন, ‘প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন আলাদা। আমরা চেষ্টা করি তাদের সেই স্বপ্নের সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক পথটা দেখাতে। সাদিয়ার সাফল্য আমাদের বিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করেছে, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা যে কেউ চাইলে আমাদের ফ্রি কাউন্সেলিং নিয়ে বিশ্বজুড়ে এমন সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।’
সাদিয়ার গল্প প্রমাণ করে, বিদেশে পড়তে যাওয়া মানে শুধু একটি ডিগ্রি নয়, বরং নতুন সংস্কৃতি দেখা, নতুন মানুষ চেনা এবং নিজের ভেতরের সাহসকে আবিষ্কার করা। যেখানে গ্লোবাল পাথওয়ে এক্সপার্টস লিমিটেড বিশ্বাস করে, যদি সঠিক সহযোগিতা মেলে, তবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেকোনো স্বপ্নপূরণে সক্ষম। প্রতিষ্ঠানটি ভর্তি ছাড়াও ফ্রি পারসোনালাইজড কাউন্সেলিং, কোর্স ও বাজেট অনুযায়ী দিকনির্দেশনা, স্কলারশিপের খোঁজ এবং ভিসা প্রসেসিং পর্যন্ত সব ধরনের সহায়তা প্রদান করে।
সাদিয়ার এ নতুন যাত্রা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং অনেক শিক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরণা। যশোরের সাদিয়া মালয়েশিয়ায় পা রেখে যেন নতুন প্রজন্মের তরুণদের জন্য বার্তা দিলেন ‘স্বপ্ন দেখো, আর বিশ্বাস রাখো; স্বপ্ন সত্যি হয়’।
সাদিয়ার মতো স্বপ্নবানদের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপরামর্শক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল পাথওয়ে এক্সপার্টস লিমিটেড। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ফ্রান্স, ডেনমার্কসহ বিশ্বের ২০০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
যেকোনো প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির কাউন্সেলরদের সহযোগিতা পেতে নিবন্ধন করুন








