পাকিস্তানের ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কালো ব্যাজ ধারণ, অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনমিত রাখা, পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন, বাণীপাঠ, ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা, বিশেষ মোনাজাত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গণ ব্যানার, বাংলা বর্ণমালা ও ভাষা দিবসের পোস্টারে সুসজ্জিত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে দূতালয় প্রাঙ্গণে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।
হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শিশুদের সাথে নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় সমবেত কণ্ঠে সবাই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি গাইতে থাকেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। ‘জুলাই অনির্বাণ’সহ দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে প্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার তাঁর সমাপণী বক্তৃতায় বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম ও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।
’
আলোচনার পর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
জুলাই গ্রাফিতিভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু কিশোররা অংশগ্রহণ করে। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অতিথিদের আপ্যায়ণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।