নিজ মাতৃভূমি থেকে দূরে থাকলেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ভুলেনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাঙালিরা। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। একসাথে ভোজন, আড্ডা, ভ্রমণ—সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজে মেতেছে প্রবাসীরা। যদিও নিজ দেশে ঈদ করার মতো আনন্দ মেলেনা ভিনদেশে।
নামাজ শেষ হতেই মোবাইল ফোনে দেশের প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসীরা। বাসায় ফিরে আরব দেশের প্রধান খাদ্য খেজুর, পায়েস, বিরিয়ানি-পোলাও ও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খান সবাই। ঈদের আনন্দ উদযাপনে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াবেন অনেকেই।
ঈদ মানেই আনন্দ। তবে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করলে ঈদের উল্লাস আরও গাঢ় হয়। প্রবাসীদের জীবনে এই উল্লাসের সুযোগ নেই। প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা। প্রবাসে বাংলাদেশের মতো ঈদের আমেজ পুরোপুরি থাকে না। তবুও সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করেন একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি, খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে।
প্রবাসী বাঙালি সালাহ উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের ঈদ মানে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈদগাহে নামাজ পড়া, নামাজ পড়ে বাসায় এসে কোলাকুলি করে ঘুমানো, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে সময় পার করা। দেশের মতো আনন্দটা তেমন নেই বললেই চলে। ঈদের নামাজ শেষে দেশে ফোন করার পর বুকের ভেতর কষ্টের তীব্রতা যেন আরও বেড়ে যায়। বুকফাটা যন্ত্রণাকে বুকে নিয়ে বিছানায় গিয়ে চোখের পানিতে বালিশ ভিজিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করি।
প্রবাসী জামিল উদ্দিন বলেন, আসলে প্রবাসীদের ঈদের দিনগুলোকে অন্যান্য দিনগুলোর সঙ্গে পার্থক্য করা কঠিন। কারণ অনেক প্রবাসীকেই ঈদের দিনও তাদের নির্ধারিত ডিউটি করতে হয়। প্রবাসে ঈদের দিনে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে দেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানোর ঈদের দিনগুলোর কথা। তারপরও আমরা আমাদের মতো করে ঈদের আনন্দকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করি।
কুয়েতে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় আনন্দ ও উৎসবের দিন ঈদ, বছরে দুটি ঈদ বিশ্বের মুসলমানেরা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালন করে থাকেন। যদিও নানা কারণে ঈদুল ফিতরের আনন্দ খানিকটা বেশিই বলে মনে করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ন্যায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীর কর্মস্থল কুয়েতেও ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ এপ্রিল বুধবার সকাল ৫.৪৩ মিনিটে কুয়েতের বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া এলাকার বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজে কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশীরা যোগ দেন।
এছাড়াও দেশটির আওকাফ কর্তৃক পরিচালিত ও বাংলাদেশীদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২০ টি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় যত্রাক্রমে, মসজিদে সালেহ আল ফুদালা, আহমদ নাজেম, উমর বিন খাত্তাব, নাদি ফুরুসিয়া, আব্দুল্লাহ বিন আমর, উসমান বিন আফফান, শাবরা ত্বামী, সালেহ আন নামাশ, ফাহাদ,আমহুজ, আতেকী, খালাফ, মিনা আব্দুল্লাহ, শাবরা মসজিদ, ফেরদাউস, আবু বকর,শাহ আমানত, মসজিদ রহমান, শাবরা১, শাবরা২ ও মাতলা মসজিদ।
ওইসব মসজিদে প্রবাসী বাংলাদেশী ঈমামরা ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়িয়েছেন ও বাংলা খুৎবা পাঠ করেন। কুয়েতে এবার সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে কুয়েত সিটির সালেহ আল ফুদালা মসজিদে।
অন্যদিকে বাংলাদেশি অধ্যুষিত হাসাবিয়া বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে আসা হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

আটলান্টিক সিটিতে প্রাণের আমেজে ঈদুল ফিতর উদযাপিত
নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। ১০ এপ্রিল বুধবার সকালে আটলান্টিক সিটির বিভিন্ন মসজিদে প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য সমবেত হন। বড়দের সাথে ছোটরাও রং-বেরংয়ের পাজামা-পাঞ্জাবি পরে ঈদের জামাতে অংশ নেয়। ঈদ জামাতে বিপুল সংখ্যক মহিলার অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ্যণীয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপনে এদিন সকাল থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমরা ঈদ আনন্দে শরীক হতে নিজেদেরকে উজাড় করে দিয়েছিল, এছাড়া অনুকুল আবহাওয়ায় এবারের ঈদ পেয়েছিল ভিন্ন এক মাত্রা।
মসজিদ আল হেরা- আটলান্টিক সিটির ২৪২৬, আটলান্টিক এভিনিউতে অবস্থিত বাংলাদেশি আমেরিকানদের অর্থায়নে নির্মিত ও তাদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মসজিদ আল হেরায় ঈদের জামাতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমসহ অন্যান্য কমিউনিটির মুসলিমরাও অংশ নেয়। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম মহিলাও ঈদের জামাতে অংশ নেয়। ঈদের নামাজ আদায় শেষে খুৎবা প্রদান করা হয়, দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সুখ-সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়। এখানে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ রুহুল আমিন খান ও খুতবা প্রদান করেন মসজিদ আল হেরার খতিব, মুহাদ্দিস আজিম উদ্দিন।
মসজিদ আল হেরার সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম সোহাগ এর পরিচালনায় সভাপতি ওবায়দুল্লাহ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে মসজিদের সার্বিক চিত্র মুসল্লীদের কাছে তুলে ধরেন। এছাড়া মুসল্লীদের ঈদ শুভেচছা জানান মসজিদের সাবেক সভাপতি জসিমউদ্দীন । ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লীদের মাঝে খাবার, ডোনাট, জুস বিতরণ করা হয়
ইসলামিক সেন্টার অব আটলান্টিক সিটি – বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আটলান্টিক সিটির ১৬, উত্তর ফোরিডা এভিনিউতে অবস্থিত বাংলাদেশি আমেরিকানদের অর্থায়নে নির্মিত ও তাদের দ্বারা পরিচালিত ইসলামিক সেন্টার অব আটলান্টিক সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের অন্যতম বৃহত্তম জামাত। এখানে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। পুরুষদের পাশাপাশি নামাজের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা থাকায় বিপুল সংখ্যক মহিলাও এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ইসলামিক সেন্টারের পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং তাঁদেরকে ঈদের শুভেচছা জানান।
ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব শেখ তৌফিক আজিজ। ঈদের নামাজ শেষে শিশু-কিশোর সহ অন্যান্যদের মাঝে মিষ্টি, ডোনাট, আইসক্রিম, জুস, খেলনা বিতরণ করা হয়। ন্যাশনাল গার্ড আরমরি- আটলান্টিক সিটির ১০০৮ এবসিকন বুলোভারড এ অবস্হিত ন্যাশনাল গার্ড আরমরিতে ঈদুল ফিতরের অন্যতম বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন শেখ হাতেম ফরিদ।বিপুল সংখ্যক মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির সভাপতি মো: জহিরুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো: জাকিরুল ইসলাম খোকা, ট্রাস্টি বোর্ড এর চেয়ারম্যান আব্দুর রফিক ও আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড সদস্য সুব্রত চৌধুরী সাউথ জার্সিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি সহ অন্যান্য মুসলিম সমপরদায়কে ঈদ শুভেচছা জানিয়েছেন।

ইতালিতে ঈদ উল ফিতর উদযাপন
উৎসব মুখর ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে মধ্য প্রাচ্যের সঙে মিল রেখে ইতালি বুধবার ১০ এপ্রিল ঈদ উল ফিতর উদযাপন হয়েছে। রাজধানী রোম সহ বিভিন্ন স্থানে মসজিদ ও খোলা মাঠে এই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোমে ই প্রায় শতাধিক স্থানে চার থেকে পাঁচটি জামাতে এই নামার আদায় করা হবে। এই নামাযে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙে দূতালয় প্রধান জসিম উদ্দিন দেশের উন্নয়নে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
আজ কর্ম দিবস থাকায় নামায আদায় করেই বেশির ভাগ প্রবাসী বাংলাদেশিরা কর্ম স্থলের দিকে গমন করে। এই সময় প্রবাসীরা বাংলাদেশের সুখ, সমৃদ্ধি কামনা করেন।
সেই সঙে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন ধরে রেখে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ আগামী প্রজন্মের জন্যে রেখে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম কিবরিয়া, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, ইতালি বি এন পির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুর রহমান সালাম। উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব রব ফকির সহ সামাজিক, আঞ্চলিক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

নিউইয়র্ক ঈদগাহর ঈদ জামাতের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছেই
নিউইয়র্কের মুসলিম কম্যিউনিটিকে নবী মোহাম্মদের (সা:), সাহাবা, তাবিয়ীন, তাবে তাবিয়ীন, আয়িম্মা ও আউলিয়ায়ে কেরাম এবং জামহূর উলামায়ে কেরাম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত “ঈদগাহ সংস্কৃতি” যা ইসলামের অত্যন্ত গুরুক্বপূর্ণ তাহজীব ও তামাদ্দুন সম্বলিত এক সংস্কৃতি, তা উপহার দেয়ার জন্য মোহাম্মদী সেন্টার কর্তৃক ২০১১ সন থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আসার আজ ১৩ বছর। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হলেও অমুসলিম জনসাধারণের রাস্তাঘাট ও ঘনবসতি পূর্ণ নেইবারহূডের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়ে সারা দিন বা দিনের সকালে তাদেরকে অসুবিধায় ফেলে লোক চোখে বাহবা কুডানোর ঈদ জামাত কখনোই মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টির কারন হতে পারেনা। সেই চিন্তা করেই মিনি বাংলাদেশ জ্যাকসনহাইটসের ঘন বসতিপূর্ণ শহরের জ্যাকসনহাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজাকেই ঈদগাহ ভেন্যু হিসেবে বেছে নেয়ার মূল কারন।
বিবেকের তাডনায় বিষয়টি যারা অনুধাবন করতে পেরেছেন এবং বুঝেছেন প্রথম থেকেই তাঁদের সমর্থন রয়েছে নিউইয়র্ক ঈদগাহর সাথে। এবারের ঈদুল ফেতর জামাতের পাঁচজন ইমাম ১) শায়খ কারী ইমাম আবুল খাইর, ২) শাইখ ইমাম ফয়সল জালালী, ৩) শাইখ ইমাম কারী হাফিজ সায়্যিদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানী, ৪) শাইখ ইমাম কারী হাফিজ সায়্যিদ মুসতাঈন বিল্লাহ রব্বানী ( ১৮ বছর বয়সের এই যুবক ইমাম একজন ইমাম হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে জীবনের প্রথম ঈদ জামাতটি আশাতীত ভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সহিত পডিয়েছেন ), ও ৫) আয়োজক ইমাম কাজী কায়্যূম সকাল ৭ঃ০০ টার প্রথম জামাত থেকে ১১ঃ০০ টার ৫ম ও শেষ জামাতটি পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই থেকে একই সাথে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকাও পালন করেছেন। মুসল্লিরা নতুন প্রজন্ম ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জ্যাকসনহাইটস ডাইভার্সিটি প্লাজার নিউইয়র্ক ঈদগাহর ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করতে পেরে ধন্য ও আনন্দিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
রাস্তাঘাট বন্ধ করে অমুসলিম প্রতিবেশীদের কষ্ট দেয়ার ঈদ জামাতে না গিয়ে নবীজীর প্রকৃত সুন্নাহ মোতাবেক নিউইয়র্কের ঈদগাহর ঈদ জামাতে এসে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসে ইসলামের সঠিক তাহজীব ও তামাদ্দুনকে বজায় রাখাতে সাহায্য করার জন্য নিউইয়র্ক ঈদগায় আগত মুসল্লিদের ধন্যবাদ জানান মোহাম্মদী সেন্টারের অধীন প্রজেক্ট নিউইয়র্ক ঈদগাহর পরিচালক ইমাম কাজী কায়্যূম। তিনি আরোও বলেন, সঠিক ইসলামী তাহজীব ও সংস্কৃতিকে এই প্রবাসে বজায় রাখতে ও প্রতিষ্ঠিত করতে আপনারা যারা সবাইকে নিয়ে এখানে এসে ঈদের নামাজ আদায় করলেন, করছেন ও করবেন তিনি আপনারা প্রত্যেকেই শুধু ইতিহাসই নয়, মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের চোখে সত্যিকারের ঈদে মোবারকের ‘মোবারক’ হয়ে থাকবেন। উল্লেখ্য, ২০১১ সনে নিউইয়র্ক ঈদগাহর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কর্মরত মুসল্লিদের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে ও তাঁদের কথা চিন্তা করে ৫টি জামাতের নিয়মিত ব্যবস্থা করে আসছে। যা সব সময়ই বিদ্যমান থাকবে।












