নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের কোলাহলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জ্যাকসন হাইটসে যাত্রা শুরু করেছে খলিল বিরিয়ানির নতুন শাখা। ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার খলিল ফুডসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান খলিল বিরিয়ানির পঞ্চম শাখার উদ্বোধন করা হয়। জ্যাকসন হাইটসের রুজভেল্ট অ্যাভিনিউ সাবওয়ের বিপরীতে (৭৪-১০ ব্রডওয়ে) ব্রডওয়ের ওপর নতুন শাখার বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের মূলধারার রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।
উদ্বোধনী পর্বে দেয়া বক্তৃতায় সেফ খলিলুর রহমান বলেছেন, উন্নত খাবার পরিবেশন করা সহ দেশ ও সংস্কৃতির প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের কথা তিনি সব সময় গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ব্যবসার প্রসারের সাথে বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য পরিচাকদের মধ্যে মোহাম্মদ রায়হান, শেখ ইলিয়াস, ড. টিংকু সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে খলিলুর রহমান তাঁর বক্তৃতায় সবাইকে খলিল বিরিয়ানির স্বাদ গ্রহণ এবং ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। প্রতিনিয়ত সকলের পরামর্শ নিয়ে বাংলাদেশি খাবার পরিবেশনা উন্নত করার ব্যাপারে তিনি তাঁর অঙ্গীকারের কথা জানান।
শেফ খলিলুর রহমান জানান, জ্যাকসন হাইটস প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যবসা বাণিজ্য, সাহিত্য সংস্কৃতি ও সভা সমাবেশের প্রাণকেন্দ্র। গোটা আমেরিকার মধ্যে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশিদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। গত চার বছর ধরেই এই জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশিদের সুস্বাদু, হালাল ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করতে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভালো একটি জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ২১ ফেব্রুয়ারি তার দেখা মিলবে আনুষ্ঠানিকভাবে। তিনি আরও বলেন, এখানে বিরিয়ানি ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি থাকবে হালাল মম ও অন্যান্য বিদেশি খাবার। এজন্য ইতোমধ্যেই অভিজ্ঞ নেপালি শেফ নিয়োগ দিয়েছি। এখানে বৈচিত্র্যময় নানাবিধ হালাল খাবারের ব্যবস্থা থাকবে, যা থেকে গ্রাহকরা তাদের পছন্দের খাবারগুলো বেছে নিতে পারবেন।” তিনি বলেন, নিউইয়র্কের ব্রঙ্কস, জ্যামাইকা ও জ্যাকসন হাইটসের পর আমরা খুব শিগগির ওজন পার্কে আরো একটি শাখা খোলার প্রস্তুতি নেব। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরো বেশি করে সেবা দিতে চাই। এজন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। রেস্টুরেন্টের নাম খলিল বিরিয়ানি হলেও দেশি মাছ, মাংস, সবজি, সমুচা, শিঙাড়া, কাবাবসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় এখানে।
মোনাজাত ও অভ্যাগতদের শুভেচ্ছা বক্তৃতা ও শুভকামনার মধ্য দিয়ে বুধবার খলিল বিরিয়ানির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জমজমাট হয়ে উঠেছিল।